আলী হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: শুনতে কেমন মনে হলেও বাস্তবেই একজন শিক্ষক দ্বারা চলছে পাঠদান। এটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের কামালবস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ বারান্দায় খেলছে আবার কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষে পড়ছেন। প্রতিবেদকের চোঁখে এমন চিত্র ফুটে উঠলে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেহানা আক্তারের সাথে কথা হলে সে বলে, স্যার কিছু সময় অন্য ক্লাসে থাকলে আমরা বাহিরে কিছু সময় খেলি, আবার আমাদের ক্লাসে স্যার আসলে আমরা ক্লাসে যাই।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কামালবস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৬৩ সালে। সরকারি নিয়মানুসারে ৪০ জন শিক্ষার্থীর স্থলে একজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৪শ জন শিক্ষার্থীর একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এই পাঁচ শিক্ষকের বিদ্যালয়টিতে নেই আবার প্রধান শিক্ষকও। যে একজন শিক্ষক রয়েছেন তিনি আবার সহকারি শিক্ষক। বর্তমানে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে।
কামালবস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদন্য চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমার একার পক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের সৃষ্ট পদ আছে ৫টা, এর মধ্যে কর্মরত মাত্র একজন। প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম। এদিকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হয়, অন্যদিকে উপজেলায় বিভিন্ন সভা-মিটিং এ ও যেতে হয়। কামালবস্তি গ্রামের বাসিন্দা আখলু মিয়া বলেন, শূন্যপদে শিক্ষক পদায়ন করা জরুরি।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন, কামালবস্তি এলাকার ক্যাচম্যান্ট এরিয়ায় প্রায় ৩হাজার পরিবারের বসবাস। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এলাকার শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেন, বিদ্যালয়টিতে শূন্য পদে শিক্ষক পদায়নের জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর সামনের নিয়োগে দুইজন শিক্ষক দেওয়ার চেষ্টা করব। একজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান করা কষ্টকর।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) বায়েজিদ খাঁন বলেন, কোম্পানীগঞ্জের কামালবস্তি স্কুলের বিষয়টি আমার নজরে আছে। এ নিয়োগে যথাসাধ্য চেষ্টা করব শিক্ষক দেওয়ার জন্য।
Posted ৫:৩৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad