ছবি- সিলেটের জনপদ
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাস ও ট্রেনের টিকেট না পাওয়ার কারণে। তাই শায়েস্তাগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্টেশনে ঈদের ছুটিতে আসা হাজারো যাত্রী এখন টিকেটের অভাবে বিভিন্ন স্টেশনে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের কাছে বাস ও ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সরজমিনে দেখা যায়, ট্রেন যাত্রীর দুর্ভোগের করুন চিত্র। প্লাট ফরম, বিশ্রামাগার ও স্টেশন কিংবা ট্রেনের ভিতরে তিল ধারনের ঠাঁই নাই, তবে যে সকল যাত্রী অগ্রিম টিকেট নিয়েছিলেন তারা কোন রকম গাড়ীতে উঠতে পেরেছেন। আবার কেউ কেউ ট্রেনে উঠতে না পেরে বাড়ীতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যারা টিকেট কাউন্টারে উপস্থিত সময়ে টিকেট কিনতে গেছেন তাদেরকে আসন বিহীন টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
বেলা ১ টায় রেল স্টেশন জুড়ে মানুষ আর মানুষ। ১টা ৫০ মিনিটে সিলেট-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর পাহাড়ীকা ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছলে যাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা শুরু হয় কার আগে কে ট্রেনে উঠবেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের জনৈক যাত্রী বলেন, ছুটি শেষ হয়েছে, কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অফিসে যেতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, ট্রেনে আসন না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অপেক্ষা করছেন বিকল্প পথে কিভাবে গন্তব্যে যাওয়া যায়।
কর্তব্যরত ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার খোরশেদ আলম জানান, নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ট্রেন স্টেশনে আসে এবং ৩ মিনিট যাত্রা বিরতির পর ছাড়তে হয়। অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে সিডিউল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না তাই বাধ্য হয়েই ট্রেন বিলম্বে আসছে ও ছেড়ে যাচ্ছে।
অপর দিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় সকল বাস কাউন্টার থেকে দূর-পাল্লার বাস গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পরও যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনৈক যাত্রী ঢাকাগামী বাসের ৩টি টিকেট ক্রয় করেন ১৫০০ টাকা দিয়ে অথচ অন্যান্য দিনে এই টিকেটের মূল্য প্রতিটি ৩৫০টাকা।
ওই যাত্রী জানান, টিকিটের অতিরিক্ত মূল্য আদায় বিষয়ে কাউন্টারে আপত্তি জানালে সেখান থেকে বলা হয় এই মূল্যে টিকেট নেন না হয় অন্য কাউন্টারে চলে যান। এতে বুঝা যায়, আন্ত:জেলা গণপরিবহনগুলো নিয়ন্ত্রনহীন শুধু সড়কেই নয়, কাউন্টারেও।
Posted ১২:১৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad