ছাতক প্রতিনিধিঃ
ইউরোপে পারি দিতে মানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে ছাতকের যুবক মালেক মিজান ও আলালের। গত দু’ সপ্তাহর মধ্যে ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর এখানের ৩ যুবকের সলিল সমাধি ঘটে। তুরস্ক থেকে নৌ-পথে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকা ডুবিতে মৃত্যু ঘটে ছাতকের মিজান ও আলালের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকা যোগে লেক পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে তুরস্কে নৌকা ডুবিতে মৃত্যু হয় তাদের। মিজানুর রহমান(৩২) উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাইগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমানের পুত্র, এবং আলাল মিয়া তালুকদার (৩৬) দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান গ্রামের মৃত হাজী জমসিদ আলী তালুকদারের পুত্র।
মিজানুর রহমানের মামা জাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএ মিছবাহুজ্জামান শিলু জানান, ১৪ ই ডিসেম্বর মিজান ইউরোপের উদ্দেশ্যে ইরান হয়ে তুরষ্কে পাড়ি জমায়। তুরষ্কের এক শহর থেকে অন্য শহরে নৌকাযোগে যাওয়ার পথে দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বিটলিট প্রদেশে লেক ভ্যানে নৌকাডুবিতে সে মারা যায়।
এদিকে আলাল মিয়ার বড় ভাই কিরন মিয়া তালুকদার জানান, আলাল মিয়া ১২ বৎসর ধরে ওমানে অবস্থান করছিলেন। ওমান থেকে ইরাক ও তুরস্ক হয়ে একই নৌকায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য নৌকা ডুবির ঘটনায় আলাল মিয়ারও মৃত্যু ঘটে।
এর দু’ সপ্তাহ আগে স্পীডবোটে স্পেন যাওয়ার সময় সাগরের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় জাউয়া বাজার ইউনিয়নের মোঘলগাঁও গ্রামের মৃত আরশ আলী’র পুত্র আব্দুল মালেক(৩২)। প্রায় ৮ মাস আগে আব্দুল মালেক ইউরোপে যাওয়ার জন্য মরক্কোয় যান। মরক্কো থেকে স্পেনে যাওয়ার পথে সাগরের পানিতে পড়ে সে নিখোঁজ হয়। একই স্পীড বোটের যাত্রী তার সঙ্গী সিংচাপইড় ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের আবুল হাসনাত স্পেন পৌছে মোবাইল ফোনে মালেকের নিখোঁজ সংবাদ তার পরিবারকে জানিয়েছে।
আবুল হাসনাতের বর্ননা অনুযায়ী একই স্পীডবোটে তারা ৭ দিন আগে গেইমে মরক্কো থেকে স্পীডবোটে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এক পর্যায়ে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নিজের ভারসাম্য রাখতে না পেরে স্পীড বোট থেকে আব্দুল মালিক পানিতে পড়ে গেলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Posted ২:০৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad